সাইফুল ইসলাম মির্জা: তরুন মানে সে যা চায় তা করতে পারে।কারন সে হলো শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী। তরুন মানে সকল অন্যায়কে পিছনে ফেলে সামনে সুন্দর আগামীর পানে ছুটে চলা।বাবা মায়ের সম্মান বৃদ্ধি করা দেশের জন্য অবদানের মাধ্যমে স্মরনীয় হয়ে থাকা,,যেমন স্মরনীয় হয়েছেন, ভাষার জন্য জীবন দেওয়া তরুন সালাম, রফিক,জাব্বারসহ আরও অনেকে।
*আজকে আমাদের তরুন সমাজ তাদের সোনালী গৌরবময় ইতিহাস ভুলে মাদকের কালো থাবায় নিজেকে আচ্ছন্ন করে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে,দূর্নীতি, অধিকার হরন,অন্যায় রাহাজানি, গুম,খুন হত্যা ধর্ষনে ছেঁয়ে গেছে পুরো দেশ। আজ স্বাস্থ্য খাতসহ সব দিক থেকে অনিয়ম দূর্নীতি দিয়ে পরিপূর্ণ। হে তরুন এসবের দায়ভার তোমারও। কারন তুমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করো নাই।এই দূর্নীতি, অনিয়মের দায়ভার তুমি কি করে এড়িয়ে যাবে যেখানে তুমি চাইলেই এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারতে।
তরুন তোমাকে রাজনীতির কথা বললে, তুমি বল “এসব রাজনীতি টাজনীতি আমি করি না”। কিন্তু সেই তুমিই আবার একশত টাকা বা দুইশত টাকার জন্য মিছিলে যাও মিটিং এ যাও, সোনার বাংলাদেশে মারামারি করে নিজেরই স্বজাতী ভাইয়ের রক্ত ঝরাও।আসলে তোমার এই মিছিলে যাওয়া, মিটিং এ যাওয়ার কারনে দেশের কোনো উপকার হচ্ছে না বরং সুবিধাবাদীরা তোমাকে ব্যবহার করে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে তোমার দেওয়া শুল্কের টাকা চেটে পুটে খাচ্ছে।তুমি তা ভেবেও দেখছো না।
তরুন সমাজের মনে রাখতে হবে,স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তিনি এমনি এমনি তার এই মর্যাদা লাভ করে নাই, তিনি তরুন বয়স থেকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছেন দেশের জন্য কাজ করেছেন অবশেষে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে স্বাধীন করেছেন।
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য যারা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন,তারা তোমার আমার মত ছিল না,তারা দেশকে অন্তরে ধারন করেছে, নিজের ভাষাকে বুকে লালন করেছে তাই তো তারা আজ স্মরণীয় হয়ে আছে, তাদের নাম স্মরনীয় হয়ে থাকবে ততদিন যতদিন বাংলাদেশ থাকবে একজন বাংলায় কথা বলা মানুষ জীবিত থাকবে ততদিন সালাম, রফিক,বরকত,জাব্বাররা মানুষের স্মৃতিপটে জায়গা দখল করে থাকবে।
আজকে দেশের অনিয়ম দূর্নীতিকে রুখে সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তরুন সমাজকে সেই ভাষা সৈনিকদের মত হতে হবে তাদের থেকে অনুপ্রানিত হতে হবে, হতে হবে ৭১ এর তরুন মুক্তিযুদ্ধাদের মত। ঝাপিয়ে পড়তে হবে, অবস্থান নিতে হবে এই সব অন্যায় অবিচারের বিপক্ষে।তবেই আমরা সুন্দর সোনার বাংলাদেশ দেখতে পাবো। তরুনদের মনে রাখতে হবে,যখনই তরুন সমাজ ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠেছে তখনই তারা দেশের জন্য জাতীর জন্য দামী উপহার দিতে পেরেছে,যেমন বাংলা ভাষা,স্বাধীন সোনার বাংলা।
বেশি দূরে নয়,বিগত সাল গুলোতেও তরুন ছাত্র সমাজের যে আন্দোলন হয়েছে সব গুলো আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখেছে।সুতরাং এখন তরুনদের ঘুমিয়ে থাকার সময় নয়। এগিয়ে আসতে হবে দেশ রক্ষায়,আমাদের অধিকার রক্ষায়,সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করতে। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্রে উল্লিখিত তিনটি শব্দকে সামনে নিয়ে এগিয়ে গেলে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বেশি সময় লাগবে না।অবশ্যই আমাদের সাম্য,মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় সামনের লাইনে থাকতে হবে।
তরুনদের জেগে উঠার মাধ্যমে, বঞ্চিত ফিরে পাবে তার অধিকার,অভাবি পাবে স্বচ্চলতা,মানুষ ফিরে পাবে তার সম্মান ও মর্যাদা,অত্যাচারিত ব্যক্তি ফিরে পাবে তার অধিকার,অত্যাচারি পাবে তার উপযুক্ত পাওনা।তবেই আমাদের দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ সফলতা পাবে।